পূর্ব চীন সাগরে একটি ট্যাংকারের সাথে মালবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগায় যে অগ্নিকান্ড হয়েছে তা একটা পরিবেশগত বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
চীনা কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো ট্যাংকারটিই বিস্ফোরণ ঘটে ডুবে যেতে পারে এমন আশংকা করছেন তারা।
শনিবার সাংহাইয়ের ১৬০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে এই দুর্ঘটনার পর থেকে ৩২ জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছে যার মধ্যে ৩০ জন ইরানি এবং ২ জন বাংলাদেশি।
সাগরের মাঝখানে জ্বলন্ত ট্যাংকারটিতে বিস্ফোরণ হচ্ছে এবং ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলি আকাশে উঠছৈ – যা বহুদূর থেকে দেখা যাচ্ছে।
একজন পরিবেশন বিশেষজ্ঞ ওয়েই শিয়াংহুয়া এএফপিকে বলেছেন, এর ফলে এক বিরাট এলাকা জুড়ে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে।
ইরানি তেলের ট্যাংকারটি ১০ লাখ ব্যারেল কনডেনসেট নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল, এবং জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে তাতে আগুন ধরে যায়।
কনডেনসেট হচ্ছে এক বিশেষ ধরণের অশোধিত তেল – যা একটি অত্যন্ত বিষাক্ত এবং সাধারণ অশোধিত তেলের চাইতেও বিস্ফোরণপ্রবণ বস্তু।
জেট বিমানের জ্বালানি, পেট্রোল, ডিজেল এবং হিটারের জ্বালানি উৎপাদনের কাজে এটা ব্যবহার করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার কয়েকটি বিমান নিখোঁজ ক্রুদের সন্ধান করছে। এ পর্যন্ত একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
কয়েকটি চীনা দল সাগরে চুইয়ে পড়া কনডেনসেট অপসারণের চেষ্টা করছে – তবে এটা বর্ণহীন বলে অপসারণ করা এক কঠিন কাজ।
জেটিডি এনার্জি সার্ভিসের জন ড্রিসকল বিবিসিকে বলেছেন, কনডেনসেট বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়া বা সাগরের পানিতে মিশে যাবার সম্ভাবনা আছে।
সূত্র, বিবিসি